শনিবার , সেপ্টেম্বর ১৩ ২০২৫

বেড়েই চলেছে ঝোপঝাড় ও আগাছা ছিনতাই-ডাকাতির আতঙ্ক

চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের অংশ ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন প্রায় ১৮ কিলোমিটার। দেশের পশ্চিম, দক্ষিণ অঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে যাতায়াতের সহজ হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে যাওয়া-আসা করে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের দুই পাশে অযতেœ বেড়েই চলেছে ঝোপঝাড় ও আগাছা। দিনে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের। রাতের বেলা এই ঝোপঝাড় হয়ে ওঠে চোর-ডাকাতের অভয়াশ্রম। বছরে কয়েকবার এই আগাছা পরিষ্কারের নিয়ম থাকলেও সড়ক ও জনপথের কর্তৃপক্ষ উদাসীন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ফরিদগঞ্জ উপজেলা বাঘড়া বাজার এলাকা থেকে শুরু। ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা হয়ে রায়পুর বর্ডার পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার। এই সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় দেশের পশ্চিম, দক্ষিণ অঞ্চল থেকে হরিনা ফেরিঘাট, চাঁদপুর লঞ্চঘাট দিয়ে পূর্বাঞ্চলে যাতায়াতের সহজ মাধ্যম হয়ে উঠেছে সড়কটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। ফুটপাত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার না করায় বন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ফলে পথচারীদের মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুত জঙ্গল ও আগাছা পরিষ্কার করে ফুটপাত পুনরুদ্ধার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে কমপক্ষে তিন ফিট থেকে সাড়ে ফিট সড়ক গিলে খেয়েছে এই অগাছা। ফলে এখন পুরো সড়ক ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। রাতে এই সড়কে কিছুদিন পর পর চুরি, ছিনতায়ের ঘটনা ঘটে। বছরখানেক আগে কয়েকটি ডাকাতির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। সড়কের পাশে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গাছগাছালির ঝোপ অপরাধীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। এই কারণে রাতে চলাচল করা যানবাহনে যাত্রী ও মালপত্র বহন করা চালকরা থাকেন নিরাপত্তাহীনতায়। গৃদকালিন্দিয়া এলাকার বিল্লাল হোসেন (৫০), ধানুয়া বাজার কামরুল ইসলাম (৪০) ও আব্দুল ওয়াদুদসহ (৬০) অনেকেই জানান, অনেক বছর ধরে এই সড়কের দিকে কোনো ধরনের নজর নেই কর্তৃপক্ষের। সংস্কার হলেও দুই পাশে মাটি সরে গিয়ে অনেক স্থানে সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। আর ওই ভেঙে যাওয়া স্থানে ঢেকে রেখেছে আগাছা ও ঝোপঝাড়। ফলে অনেকে ওই সব স্থানে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে অনেক পথচারী ও যানবাহন চালকদের। দিনে পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় এবং রাতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সড়কে লাইটিং ব্যবস্থা না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, এই সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় রাতে একাধিক পুলিশ টিম বিভিন্ন স্থানে ডিউটি করে থাকে। সড়কের পাশে থাকা ঝোপঝাড় রয়েছে, অপসারণ করা হলে অপরাধীদের শনাক্ত করতে সহজ হবে। চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী হোসেনের বক্তব্যের জন্য কার্যালয় ও মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, সড়কের পাশের আগাছা পরিষ্কার করার নিয়ম আছে। তবে বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমি জেলা মিটিংএ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করবো।