শনিবার , অক্টোবর ২৫ ২০২৫

নরসিংদীতে বাসের ধাক্কায় নিহত তিন বন্ধুর পাশাপাশি দাফন

নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে বাসের ধাক্কায় নিহত তিন তরুণ ছিলেন শৈশবের বন্ধু। আজ শুক্রবার সকালে তাঁদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। বাদ জুমা একসঙ্গে তিনজনের জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে তাঁদের দাফন করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাধবদী থানার নুরালাপুর ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রাইনাদী এলাকায় বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় থাকা ওই তিন বন্ধু নিহত হন। নিহত তিনজন হলেন রাইনাদী গ্রামের সিয়াম মিয়া (২৭), সাব্বির হোসেন (২৮) ও ফাহিম মিয়া (৩০)। মাধবদীর একটি ইলেকট্রিকের দোকানে কাজ করতেন সিয়াম। একটি অটোরিকশার গ্যারেজে কাজ করতেন ফাহিম এবং সাব্বির ছিলেন অটোরিকশাচালক।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্বজনদের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিন বন্ধু মাধবদী থেকে অটোরিকশায় রাইনাদী যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি মহাসড়ক থেকে গলিতে ঢোকার সময় পেছন থেকে সিলেটগামী একটি বাস ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই সিয়াম মারা যান, আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাব্বির ও ফাহিমের মৃত্যু হয়।

স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জানান, সাব্বিরের স্ত্রীর জন্মদিন উদ্‌যাপনের পরিকল্পনায় ওই রাতে ফাহিমের কর্মস্থলে তিন বন্ধু একত্র হয়েছিলেন। সেখান থেকে একটি অটোরিকশা নিয়ে ফাহিম নিজেই সেটি চালিয়ে বন্ধুদের নিয়ে বের হন। পথে তাঁরা মাধবদীর একটি দোকান থেকে জন্মদিনের উপহার কেনেন। ফেরার পথে জাকিয়া কটন মিলের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

পাশাপাশি কবরে তিন বন্ধুর দাফন সম্পন্ন হয়েছেছবি: প্রথম আলো

আজ শুক্রবার বাদ জুমা রাইনাদী বিদ্যালয়ের মাঠে একসঙ্গে তাঁদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় লোকজন জানাজায় অংশ নেন। পরে রাইনাদী উত্তরপাড়ার একটি পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি তিনজনকে দাফন করা হয়।

ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ তিনটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ মামলা করেছে। বাসটি জব্দ করা গেলেও এর চালক ও সহযোগী পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।