মঙ্গলবার , অক্টোবর ২১ ২০২৫

আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন চাঁদপুর জেলার বিক্ষোভ মিছিল

চলমান শিক্ষক আন্দোলন সমর্থন ও ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও স্বারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

সোমবার ২০ অক্টোবর দুপুরে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থেকে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন জেলা শাখার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়ক হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সামনে গিয়ে শেষ হয়।

সংগঠনের নেতারা ৮ দফা দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক শাহ আলম, মাদ্রাসা শিক্ষাক পরিষদের সভাপতি মাও: ছগীর হোসেন, সহ সভাপতি মাও: আফসার উদ্দিন মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক মাও: নুর মোহাম্মদ।

আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ইবতেদায়ী শিক্ষক পরিষদের সভাপতি গোলাম ফারুক মো. ইয়াহিয়া, শিক্ষক নেতা, ফারুকুল ইসলাম, মাওলনা আবু বকর মাহমুদ, আবু হানিফ মোল্লা, জাবায়ের হোসেনসহ জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলেন, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন এর পক্ষ থেকে শিক্ষা সংস্কার ও শিক্ষকদের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ও মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি।বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন শিক্ষক সংগঠনগুলোর মধ্যে অনন্য এক শিক্ষক সংগঠন। বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির এক মহান ভিশনকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে। সামাজিক অবক্ষয় রোধ, সমাজ পরিবর্তন-পরিগঠন ও জীবনমান উন্নয়নে- শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষার্থী, শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষাক্রম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটা জাতির সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিনির্মাণের ক্ষেত্রে শিক্ষাব্যবস্থা প্রধান হাতিয়ার।

আমরা গভীর ভাবে লক্ষ্য করছি যে, স্বাধীনতাত্তোর বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন সরকারের উদাসীনতা, বিশেষ গোষ্ঠীর অপতৎপরতা এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষানীতি, শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ ও শিক্ষাক্রমের সুষ্ঠু বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করেছে। একদিকে পাশ্চাত্য সভ্যতার আগ্রাসন এবং অপরদিকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রভাব এ দেশের নিজস্ব শিক্ষা কাঠামো তৈরিতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার ২০১০ সালে একটি ফ্যাসিবাদী শিক্ষানীতি প্রনয়ন করে ২০২২ সাল থেকে শিক্ষাক্রমে বাস্তবায়ন শুরু করে। উক্ত শিক্ষাক্রমে নৈতিক শিক্ষাকে গুরুত্বারোপ না করে তদস্থলে বিদয়াত এবং শিরকিয়াতের মত বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। উক্ত শিক্ষাক্রমে জীবন ও কর্মমুখী নৈতিক শিক্ষাকে অগ্রাধিকার না দিয়ে বরং আধুনিকতার দোহাই দিয়ে নৈতিক মূল্যবোধ বিমুখ শিক্ষাক্রম চালু আছে। বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন মনে করে, একটি জাতিকে গঠন করতে হলে তার শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন হওয়া চাই। স্বাধীনতার পর থেকে একটি টেকসই যুগোপযোগী শিক্ষা নীতিমালা ও কারিকুলাম প্রণয়ন ছিল একটি মৌলিক কাজ। বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন বিপ্লব পরবর্তী মানুষের চাহিদা, আশা-আকাঙ্খা ও যগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ণের তাগিদে উক্ত সংস্কার প্রস্তাব ও দাবীসমূহ উপস্থাপন করছে। শিক্ষক ফেডারেশন

স্বারকলিপি প্রদানের বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের দাবিসমূহ- ১) বাড়ি ভাড়া ৪৫% করতে হবে।২) চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা দিতে হবে।৩) শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান করতে হবে।৪) প্রস্তাবিত ১০৮৯ ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্ত করতে হবে।৫) নন-এমপিও শিক্ষকদের চাকুরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে।৬) অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া ভাতা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।৭) স্বৈরাচারী সরকারের আমলে যেসকল এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা তাদের পাওনা বুঝে পায়নি তাদের পাওনাদি নির্বা আদেশে পরিশোধ করতে হবে।৮) বে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়/কিন্ডার গার্টেন (অনুমতি প্রাপ্ত) সমূহকে ৫ম শ্রেণি বৃত্তি পরীক্ষা ও উপবৃত্তির সূমে দিতে হবে।

সংগঠনের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন মনে করে একটি জাতিকে গঠন করতে হলে তার শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন হওয়া চাই। স্বাধীনতার পর থেকে একটি টেকসই যুগোপযোগীশিক্ষা নীতিমালা ও কারিকুলাম প্রণয়ন ছিল একটি মৌলিক কাজ। বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন বিপ্লব পরবর্তী মানুষের চাহিদা, আশা আকাঙ্খা ও যুগোপযোগী শিক্ষ ব্যবস্থা প্রনয়ণের জন্য তাগিদে উক্ত সংস্থার প্রস্তাব ও দাবীসমূহ উপস্থাপন করছে।