বিক্ষোভের মুখে বাড়ি ছেড়ে সপরিবারে আত্মগোপনে চলে গেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করাকে কেন্দ্র করে কানাডায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর জাস্টিন ট্রুডো পরিবারসহ গা ঢাকা দিয়েছেন বলে দেশটিতে সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডায় করোনার বিধি নিষেধ তুলে দেওয়া এবং করোনা টিকা বাধ্যতামূলক না করার দাবিতে ট্রাকচালকরা বিক্ষোভ শুরু করেন । মার্কিন সীমান্ত পেরোনোর জন্য করোনার টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা যাবে না বলে দাবি করেন তারা।
এই দাবিতে কানাডার আলাম থেকে অটোয়া পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তায় কনভয় তৈরি করেন তারা। একই সঙ্গে ঘেরাও করে ক্রমাগত হর্ন দিতে থাকেন তারা। এই বিক্ষোভের জেরে রাস্তায় যানজট এবং শব্দদূষণে একদম অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন অটোয়াবাসী। আন্দোলনকারীরা এই আন্দোলনের নাম দিয়েছেন ফ্রিডম কনভয়। ট্রাকচালকরা শুরু করলেও শিশু, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীরাও এই আন্দোলনে অংশ নেন। কেউ কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন, কেউ আবার ট্রুডোকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করেন।
এ সময় কানাডার শীর্ষ সেনা জেনারেল ওয়েইন আয়ার এবং কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অনিতা আনন্দের তীব্র নিন্দা করে বিক্ষোভকারীদের ওয়ার মেমোরিয়ালের উপর নাচও করতে দেখা যায়। চরম ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করেই রাস্তায় নামেন বহু মানুষ। ক্রমেই বাড়ে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা। ধীরে ধীরে জনজোয়ার সংসদ ভবনের কাছে পৌঁছে যায়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগে থেকেই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পুলিশকে।
আর বিক্ষোভের হাত থেকে বাঁচতেই জাস্টিন ট্রুডো সপরিবারে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। এমনকি তার অবস্থান সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি। তবে আত্মগোপনে থেকে এই বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে ট্রুডো বলেছেন, ট্রাক চালকরা বিজ্ঞানকে মানতে চাইছেন না। তারা নিজেদের পাশাপাশি অন্যদেরও ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। অন্যদিকে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনিতা আনন্দও এই বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়েছেন।