মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রির দেখা মিলেছে ফরিদগঞ্জে। রোববার (১৩ অক্টোবর) ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর বাজারে প্রকাশ্যে ইলিশ মাছ বিক্রিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৮৬ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে এবং এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন মাছ ব্যবসায়ীর ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট এ আর এম জাহিদ হাসান ইলিশ জব্দ ও জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা বন্ধ এবং প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি ও মজুতের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে সরকার। কিন্তু ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ বাজারে রোববার (১৩ অক্টোবর) প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রির বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের।
পরে ওই দিন বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট এ আর এম জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত সদর বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তারা তিন মাছ ব্যবসায়ী যথাক্রমে গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের কাছ থেকে ১২০ কেজি, গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাঁসা গ্রামের আবুল হোসেনের কাছ থেকে ২৩ কেজি ও রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের রূপসা গ্রামের জাবেদের কাছ থেকে ৪৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করেন। পরে তারা ভুলের স্বীকারোক্তি প্রদান করায় প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ও স্কাউটস সদস্য রেদোয়ান খানের নেতত্বে স্কাউটস সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট এ আর এম জাহিদ হাসান জানান, জব্দকৃত ইলিশ মাছ ফরিদগঞ্জের কয়েকটি এতিম খানায় ও চাঁদপুর শিশু পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১২ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে ইলিশ আহরণ, হাট বাজারে ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার।