শাহ এনামুল হক কমল
শুরুতেই বলে রাখি দুটি দেশের মধ্যে অমানুষ আর মানুষের যুদ্ধে যে পরিমান মৃত্যু বরণ করে করোনায় সারা বিশ্বে তাও ঘটেনি।কিন্তু করোনায় মৃত্যুবরণ করা এবং আক্রান্ত , সকলের প্রতি সন্মান রেখে বলছি ক্ষতির পাশাপাশি প্রাপ্তি রয়েছে অনেক। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে কুড়ে ঘরে থাকা কৃষকের ঘরের চালা উড়িয়ে নেয়ার পর,বৃষ্টির পানিতে সারা রাত জেগে থাকা কৃষকের ফসলের মাঠে এই পানিই আশার আলো জাগায়, ঠিক তেমনি ভাবে করোনার ঝড়ের মধ্যে ও কিছু আলোর দেখা পাই।
পৃথিবীতে এখন আর যুদ্ধের কথা শুনা যায়না।এই কিছু দিন আগে ও পার্শ্ববর্তী কাশ্মীর সীমান্তের কথা কিংবা ইসরাইল ফিলিস্তিনের কথাই ধরা যাক,কিছুটা সময়ের জন্য হলেও থেমে গেছে হত্যালিলা। যে মানুষ গুলি রাতবিরাতে আড্ডায় মশগুল থাকতো,আপন জনদের সাথে কাটানোর সময় একদমই ছিলোনা হাতে তারাও আজ গৃহে। অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে মানুষের মানুষিকতার,পাল্টেছে জীবন যাত্রা।
মানুষকে ঘরে বসিয়ে প্রকৃতি করোনার সাথে সন্ধি করে নিজেকে বিশুদ্ধ করে নিচ্ছে আগামী প্রজন্মকে মুক্ত বাতাস সরবরাহ করবে বলে। অল্প সময়ের মধ্যে অধিক সন্মানের আসনে বসিয়েছে করোনার প্রতিপক্ষ যোদ্ধাদেরকে। জাতি,ধর্ম,গোত্র বিভেদ ভুলে আত্মমানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। লুটেরাদের লুটেরা বলে আত্ম সমালোচনা করার মানুষিকতা ও অনেকের তৈরি হয়েছে এর ই মধ্যে। সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করার মত অফুরন্ত সময়-সুযোগ হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলাবোধের কিছুটা শিখতে শুরু করেছে মানুষ। ভোজনবিলাসীতা, অপ্রয়োজনীয় ব্যায় বন্ধ হয়েছে অনেকাংশে। করোনায় অনেক হারানোর মধ্যে ও কিছু প্রাপ্তি দীর্ঘ প্রশান্তি এনে দিবে মানব সভ্যতায়।